প্রেমের পরিণতি বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকী। হবু স্বামীর সাথে বিয়ের আয়োজন নিয়ে ভিডিও কলে কথা হচ্ছিল দুই জনের। এর মধ্যে ব্যাংকার হবু স্বামী স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে চেয়ে বসে আরো টাকা। বিয়ের আগেই একবার মেয়ের বাবা বিয়ের খরচ হিসেবে ছেলেকে চাহিদামত টাকা দিয়েছে বলে সুইসাইড নোটে লিখে যায় পটিয়ার রীমা আক্তার (২০) নামে এক যুবতী।
বৃহস্পতিবার ২৭ জুন দুপুর ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হীরা তালুকদার বাড়ির বাচাঁ মিয়ার কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিগত ৪ বছর যাবৎ আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক নারায়নগঞ্জে কর্মরত মিজানুর রহমানের সাথে রীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। মিজানুর রহমান মুরাদ একই এলাকার মফিজুর রহমান। উভয়ের পরিবার ছেলে মেয়ের সম্পর্ক জেনে পারিবারিক ভাবেই ২৮ জুন শুক্রবার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। আজ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন রাতে ছিল মেহেদী অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রীমা ও মিজানুর রহমান মোরশেদ মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলছিল। এর পর পরই ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করে রীমা।
রীমার ভাই আজগর হোসেন জানিয়েছে, তার বোনের কাছে যৌতুক হিসেবে ফুল সেট ফার্ণিচার, টিভি, ফ্রিজ এবং বিয়ের খরচ হিসেবে নগদ টাকা দাবী করে। উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকা সত্বেও যৌতুক দাবী করায় তার বোন অপমানিত হয়ে রাগে আত্মহত্যা করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তার বোন পটিয়া সরকারি কলেজে অনার্সের ছাত্রী ছিল। সে ছিল মেধাবী। ছেলের পক্ষের আগ্রহে তারা বিয়েতে রাজী হন। ছেলে যে এতটা যৌতুক লোভী হবে আমরা জানতাম না। প্রাণ দিয়ে আমার বোন তার মুখোশ উম্মোচন করে দিলেও আমরা এতদিন তার বুঝতে পারেনি। মৃত্যুর আগে তার বোন সুই সাইড নোটে এসব লিখে রেখে যান।
পটিয়া থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন মেহেদী অনুষ্ঠানে কয়েকঘন্টা আগে তরুণীর আত্মহত্যা বিষয়টি দু:খজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিবারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।